![]() |
| ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীর পাঠ্যবই; |
বর্তমান পাঠ্যবই বিতরণ পরিস্থিতি
২০২৫ সালে পাঠ্যবই বিতরণের সম্ভাবনা
০১।সরকারি উদ্যোগ ও প্রস্তুতি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রতি বছর আগেই বই ছাপানোর কাজ শুরু করে। ২০২৫ সালের জন্যও একই রকম প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ছাপানোর কারিগরি ও মানের সমস্যা মোকাবিলা করতে কিছু নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যা সময়মত বই বিতরণে সহায়ক হতে পারে।
০২।বাজেট বরাদ্দ: ২০২৫ সালে সরকারের বাজেট বরাদ্দ কী পরিমাণে থাকবে, তার উপরও বই বিতরণ কার্যক্রম নির্ভর করবে। পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ থাকলে উৎপাদন ও বিতরণে কোনো বড় সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
০৩।দুর্গম এলাকায় পাঠ্যবই পৌঁছানো: দেশের কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার্থীরা সবসময় বই পেতে দেরি করে থাকে। ২০২৫ সালে সরকারের নতুন পদক্ষেপের কারণে এই সমস্যাগুলি সমাধান হতে পারে। বিকল্প হিসেবে অনলাইনে বই ডাউনলোডের সুবিধাও বাড়ানো হয়েছে, যা দেরির সমস্যাকে কিছুটা সমাধান করতে পারে।
০৪।কোভিড-১৯ এর পরবর্তী প্রভাব: মহামারি পরবর্তী সময়ে শিক্ষাখাত এখনও পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হয়নি। তবে ২০২৫ সালের মধ্যে এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে আশাবাদী অনেকে। যদি কোনো অপ্রত্যাশিত দুর্যোগ না ঘটে, তবে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ে বই পেতে পারে।
চ্যালেঞ্জসমূহ
২০২৫ সালে ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সময়মত বই বিতরণে কিছু বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে:
- ছাপাখানার সংকট: পর্যাপ্ত ছাপাখানা না থাকার কারণে কখনও কখনও বই ছাপানোর কাজ ধীর গতিতে চলে। এ সমস্যা কাটাতে সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্য নিচ্ছে।
- বিতরণ নেটওয়ার্কের দুর্বলতা: দূরবর্তী এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যথাযথ বিতরণ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী সময়মত বই পায় না।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ: বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা অন্য কোনো দুর্যোগ হলে বই বিতরণ ব্যাহত হতে পারে। ২০২৫ সালে এই ধরনের সমস্যার সম্ভাবনা থাকলেও তা মোকাবিলার জন্য সরকারের প্রস্তুতি বাড়ানো উচিত।
২০২৫ সালের নতুন উদ্যোগ
২০২৫ সালে বই বিতরণের জন্য কয়েকটি নতুন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যেমন:
- ডিজিটাল পাঠ্যবই: শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল মাধ্যমের সঙ্গে পরিচয় করাতে সরকার অনলাইন বইয়ের ব্যবস্থা বাড়িয়েছে। মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে অনলাইন ভার্সনে বই পড়ার সুবিধা শিক্ষার্থীদের সময়মত বই পড়ার সুযোগ করে দিতে পারে।
- আঞ্চলিক গুদাম ব্যবস্থা: এনসিটিবি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় মিলে আঞ্চলিক গুদাম স্থাপনের মাধ্যমে দ্রুত বই বিতরণের চেষ্টা করছে। এতে বই পরিবহনের সময় কমে আসবে এবং বই বিতরণ সহজ হবে।
উপসংহার
২০২৫ সালে ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সময়মত পাঠ্যবই পাবে কি না, তা নির্ভর করছে সরকারের উদ্যোগ ও প্রস্তুতির উপর। বর্তমান নীতিমালা ও প্রকল্পগুলি ঠিকমতো বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে পাঠ্যবই হাতে পেতে সক্ষম হবে। তবে, কিছু চ্যালেঞ্জ ও বাধা এখনো রয়ে গেছে, যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।

